গুরুদাসপুরে বিলাতী লাউ চাষে লাভবান

জালাল উদ্দিন, গুরুদাসপুর (নাটোর).
জমির মধ্যে জানালা নয় মাচাও নয়। টিনের চালার ওপরেই চাষ হচ্ছে বিলাতী লাউ। জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ঘড়ের টিনের চালার ওপরে বিলাতী লাউ চাষ। বাড়তি জায়গা বা বাড়তি খরচ যোগনো ছাড়াই চাষ করা যায় টিনের চালের ওপর বিলাতী লাউ। নিজেদের পরিবারের চাহিদা মেটানোর পরেও বাজারে বিক্রি করতে পারছে চাষিরা।
বুধবার সকালে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের পল্লী গ্রামে গিয়ে দেখাযায় এমন চিত্র। প্রায় সকল বাড়িতেই এই ভাবে বিলাতী লাউ চাষ করা হচ্ছে। খুব সহজে ও কম খরচের কারনে প্রায় সকলেই শুরু করেছেন। বাড়ির উঠানে কাঁচা মাটিতে বিলাতী লাউয়ের চারা রোপন করার কয়েকদিন পরে চারা বড় হতে থাকলে সেই খানে বাঁেশর কাঠি দিয়ে টিনের চালার ওপরে গাছের আগা তুলে দেওয়া হয়। কয়েক মাসের মধ্যেই ঘড়ের চালের ওপর ছড়িয়ে যায় এই গাছ। প্রতিটি গাছে কম পক্ষে ২০-৩০ টি করে ফল ধরে। যার ওজন প্রতিটির ওজন প্রায় ৫-১০ কেজি। বাজারে যার মুল্য প্রতি কেজি ২০-২৫ টাকা। পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি হচ্ছে বাজারে। কম খরচে অল্প জায়গায় এই বিলাতী লাউ চাষ করে সংসারে বাড়তি স্বচ্ছলতা ফিরেয়ে আনছে মধ্যবর্ত্তী পরিবারের অনেকেই।
নাজিরপুর ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের চালার ওপর লাউ চাষি গৃহিনী নুসরাত ও হাবিবা বেগম জানান, আমরা মধ্য বিত্ত্ব পরিবারের মানুষ। আমাদের স্বামী অন্যের জমিতে কাজ করে খায়। সংসারে বাড়তি আয় ও পুষ্টির জোগান দিতেই বাড়ির আঙ্গিনায় খোলা জায়গার ওপরে গাছ রোপন করি। কয়েকদিন পরে চারা গোজালে বাঁশের কাঠির সাহায্যে টিনের চালার ওপরে পৌছাই। কয়েক মাসের মধ্যেই ঘড়ের চালার সম্পুর্ন জায়গা গাছ দিয়ে পরিপুর্ণ হয়ে যায় এবং প্রতিটি গাছে ২০-৩০ টি করে ফল ধরে। আগে কেউ এমন কাজ বেশি করতো না। তবে এখন প্রায় বাড়িতেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই বিলাতী লাউ চাষ। গরমের দিনে টিনের চালার ওপরে গাছ থাকার কারনে গরমও আমাদের কম লাগে। ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার খরচে অনেক টাই সহযোগিতা আসে আমাদের এই বিলাতী লাউ বাজারে বিক্রি করে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.আব্দুল করিম জানান, নিজেদের পরিবারের পুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে বাজারেও বিক্রি হচ্ছে বিলাতী লাউ। মধ্যবিত্ত পরিবারের নারীরা সংসারে বাড়তি স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনছে অনেকেই। আমাদের পক্ষ থেকে সকল ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করা হয়।